
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে নিহতের স্ত্রী মোমেনা আক্তার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সুনির্দিষ্ট ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলা পরবর্তীতে পুলিশ শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় চার আসামীকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতাররকৃতরা হলেন, সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রহমত নগর এলাকার কাজী আনোয়ার (৩২), বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা এলাকার বশির (৩৪), মুরাদপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার রাসেল ওরফে মুরগী রাসেল ও পেশকার পাড়া এলাকার আরমান শাকিল (৩৮)। গ্রেফতাররকৃতদের মধ্যে বশির বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, রাসেল মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, আরমান শাকিল মুরাদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কাজী আনোয়ার সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় প্রকাশ্য মাদক বিক্রি ও দলীয় আধিপত্য বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কৃষকদল নেতা নাছির উদ্দিন। এসব নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার আসামিদের সাথে একাধিকবার বাকবিতন্ডা হয়েছিল এবং এবং আসামিরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দেয়। যার জেরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে গত বুধবার ইফতার পরবর্তী সময়ে নাছিরের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে নাছিরের ডান গালে ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিতের পর পালিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কৃষকদল নেতা নাছির হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররকৃতরা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।