
নোয়াখালীর চাটখিলে চিহ্নিত মামলাবাজ গংদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (২১ প্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটপুকুরিয়া-ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের বক্তারপুর, রমাপুর ও গোবিন্দপুর ৩ গ্রামের ভুক্তভোগী জনগণ রমাপুর বাজারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নোমান হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মেম্বার মতিউর রহমান মিন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া, নাছির উদ্দিন ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে।
লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত তহশিলদার সাইদুর রহমান এলাকার সন্তান। সে বিগত কয়েক যুগ থেকে এলাকা ও আশপাশের মানুষের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা, ভূয়া ও বিভিন্ন প্রতারণামূলক মামলা দিয়ে হেনস্থা করে আসছেন। কেউ তার এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভূয়া মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ৩ গ্রামের প্রায় সহশ্রাধিক মানুষ গণস্বাক্ষর করেন।
এ সময় কাজী মিজানুর রহমান বলেন, সে চাকুরিরত অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন মামলায় চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। বন্ড প্রদান এবং দুর্নীতির মামলায় সাজা প্রাপ্তির প্রমান আছে। নিজ জামাতার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের মামলা বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়াও মেয়েদেরকে চাকুরির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে সেই স্বাক্ষরে ব্ল্যাকমেইলিং করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমান আছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল উক্ত সাইদুর রহমান প্রচারিত একটি লিপলেট ও মিথ্যা মামলার বিষয়ে আমরা এলাকাবাসী অবগত হই। এর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান এখন পরিষ্কার।
বাগে ইব্রাহিম দারুল আযহার মাদ্রাসা, আলহাজ্ব ইউসুফ জামে মসজিদ এবং রমাপুর মার্কেটের জায়গা ওয়ারিসি এবং সাফ কবলা মূলে ইউসুফ কোম্পানি গং গত ৫০ বছর যাবৎ ভোগ করে আসছে। কাউছার আহম্মেদ কাজল কর্তৃক ঘরবাড়ি ভাংচুর, অস্ত্র প্রদর্শন ও ইজ্জত নষ্টের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বরং কাউছার আহম্মেদ কাজল এলাকার জনগণের জন্য নি:স্বার্থ ভাবে কাজ করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইদুর রহমান ও মুন্নি গং থেকে আলহাজ্ব ইউসুফ ও তার পরিবারকে আইনি সুরক্ষা প্রদান ও প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।