
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ৮ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর এবং সৎপিতা মোঃ জামাল হোসেনকে মারধর করেছে। অভিযুক্ত মো. জামাল হোসেন (৫০) দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরের দক্ষিন দারিবন গ্রামের বাচ্চু মিয়ার পুত্র।
শনিবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জামাল হোসেনকে যৌথবাহিনী আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। জামাল হোসেন পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক। শুক্রবার মাঝরাতে দেবীদ্বার পৌরসভার বারেরার কাজীবাড়িতে ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর শিশুটি তার মাকে জানালে তার মা এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন এবং কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে শিশুটি প্রতিবেশীদের জানালে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা জামালের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে জামালকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
শিশুর নানা শক্কুর মিয়া জানান, দেড় মাস আগে মেয়েকে জামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেই। এটি দুজনের দ্বিতীয় বিয়ে। জামাল দেবীদ্বার পৌরএলাকার বারেররা কাজি বাড়িতে ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিক্সা চালাতেন। এঘটনার খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে আসি। আমার নাতির বুকে কামড়ের দাগ দেখতে পাই।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, অভিযুক্ত জামালকে গ্রামবাসী আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে জামাল ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ভিকটিম শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর হয়েছে৷