
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই ভয়, অনিশ্চয়তা এবং গভীর উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে বিপ্লবী শরীফ উসমান হাদি নিহত হলেও খুনিচক্র এখনো গ্রেফতার হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই যোদ্ধা খুন হয়েছে চট্টগ্রামের মীরসরাইতে, খুলনায়ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। চট্টগ্রামে একের পর এক প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে দিনের আলোতে, জনবহুল এলাকায়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দেওয়ানবাজারের চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের কার্যালয়ে কর্মপরিষদ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ৫ নভেম্বর নগরীর চালিতাতলীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা নামের এক যুবক। গুলিবিদ্ধ হন বিএনপির নগর আহবায়কসহ অন্তত আরও তিনজন। ২০২৪ সালের মার্চে বাকলিয়ায় রিফাত ও বখতিয়ারকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মে মাসে পতেঙ্গায় আলী আকবর নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং অক্টোবরে সাজ্জাদ নামে একজন নিহত হন বাকলিয়ায়। যেখানে দু’ঘণ্টা ব্যাপী গুলিবিনিময়ের অভিযোগও রয়েছে। সন্ত্রাসীরা কয়েক দিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসার অভিযোগও উঠেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলই এসব খুনের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ডা. ফজলুল হক, ডা. সিদ্দিকুর রহমান ও এসএম লুৎফুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোছাইন, মাওলানা মমতাজুর রহমান, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ নুর, ড. মাহবুবুল আলম, ফখরে জাহান সিরাজী, মাহমুদুল আলম, প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ফারুকে আজম, মোহাম্মদ ইসমাইল, ড. আমম মাসরুর হোসাইন প্রমুখ।




