
মৌলভীবাজারে একজন সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ জন জুলাই যোদ্ধাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে হুমকির শিকার শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মো. এহসানুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ করে আসছি। এর জেরেই ফ্যাসিবাদী ও অপরাধচক্রের সদস্যরা আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও আমাকে সড়কে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে এবং মাদকবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আমার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। নতুন করে হত্যার হুমকিতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
হুমকির শিকার অন্যরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলা এনসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় রশিদ, ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গলের আহ্বায়ক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য হায়দার আলী ও নাঈম।
ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১টা ২৯ মিনিটে ‘নো ক্যাপশন’ নামের একটি ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার থেকে মো. মুজাহিদুল ইসলামের ফেসবুক আইডিতে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। বার্তায় তাকে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকিসহ অশালীন ও ভয়ংকর ভাষা ব্যবহার করা হয়। একই বার্তায় আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদেরও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
জুলাই যোদ্ধা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাকে এবং আমার সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ফেসবুক আইডি, মেসেঞ্জার ও কমেন্টে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য ও স্ক্রিনশট যাচাই করে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




