ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের শোক ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ শাখার অন্তর্গত লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের পিতা নুরুল ইসলামের(৫৫) মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক, প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ সভাপতি আসিফুল্লাহ মুহাম্মদ আরমান এবং সেক্রেটারি ডি.এম. আসহাব উদ্দিন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে শাখা সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন- শফিকুল ইসলামের পিতা পেশায় একজন সিএনজি চালক। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে সিএনজি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু পরদিন বুধবার ভোরে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের (৭ নং ওয়ার্ড ) কুমিরাঘোনা চৌধুরী পুকুরপাড় এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তাঁর গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লালির বাপের পাড়ায়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন-

১. নিরপরাধ একজন মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি করে হত্যা-এটি সুস্পষ্ট সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। এমন জঘন্য অপরাধ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে।

২. প্রাথমিক প্রেক্ষাপট ও ঘটনার ধরন দেখে এটি পরিকল্পিত ও লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ড বলে প্রতীয়মান। ঘটনাটি কোনোভাবেই সাধারণ অপরাধ হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।

৩. অবিলম্বে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের ব্যবস্থা করে, সংশ্লিষ্ট সব খুনি ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪. ছাত্রশিবির সবসময় শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংগঠন দৃঢ় অবস্থানে থাকবে। অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলার জন্য ছাত্রশিবির পিছপা হবে না।

মহান আল্লাহ তা’য়ালা মরহুমের জীবনের সকল ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাক্বাম দান করুন এবং শোকাহত পরিবার পরিজন সহকর্মী সহ এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

0Shares