কুরআন শিক্ষা প্রোগ্রামে ছাত্রদলের হামলা : ছাত্রশিবিরের নিন্দা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মসজিদে কুরআন শিক্ষা প্রোগ্রামে হামলা করেছে ছাত্রদলের কর্মীরা। এ হামলার ঘটনায় নিজেদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আহত কর্মীরা বর্তমানে চট্টগ্রাম ও স্থানীয় বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানায় সংগঠনটি।

বুধবার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা পশ্চিম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় বাঁশখালী উপজেলার বাহাড়ছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে দারুল ইসলাহ মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদে পবিত্র কুরআন শিক্ষার উদ্দেশ্যে একটি কোরআন তা’লীম প্রোগ্রামের আয়োজন করে ছাত্রশিবির। এটি ছিল সম্পূর্ণ ধর্মীয় আয়োজন, যা মুসলমানদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চাহিদার অংশ।

ছাত্রশিবিরের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মসজিদে প্রবেশ করে কুরআন শিক্ষারত নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালায় এবং প্রোগ্রামে বাধা সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন আহত হন, যারা বর্তমানে চট্টগ্রাম ও স্থানীয় বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। ছাত্র শিবির মনে করে, মসজিদে কুরআন শিক্ষা ও ধর্মীয় কার্যক্রমের ওপর হামলা দেশের ইসলামী মূল্যবোধ, ধর্মীয় সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ধর্মীয় স্থানে এরকম হামলার উদাহরণ রয়েছে। এবার ছাত্রদলও একই ধারা অনুসরণ করেছে। ছাত্রশিবির এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে চার দফা দাবি উত্থাপন করেছে।

ছাত্র শিবিরের দাবির মধ্যে রয়েছে- হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া, ধর্মীয় শিক্ষা ও মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা এবং হামলাকারীদের পরিচয় জনগণের সামনে প্রকাশ করা।

ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখতে হলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আড়ালে যাতে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

0Shares