সিরাজদিখানে সড়কের বেহাল দশা : দুর্ভোগে এলাকাবাসী

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন কুমারখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে দেখা যায়, শাহজালালের বাড়ি থেকে মুনতুজ আলীর বাড়ি পর্যন্ত সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত আর কাদাপানিতে একাকার হয়ে আছে। কোথাও কোথাও ইট-বালির কোনো চিহ্ন নেই। পথচারীরা কেউ খালি পায়ে, কেউবা জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করছেন। অনেকে চলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের মধ্যে এক কিলোমিটার অংশে ইটের সলিং দেওয়া হলেও বাকিটা (প্রায় ৯০০ মিটার) চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই রাস্তাই এলাকার স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী, রোগী, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের একমাত্র চলাচলের পথ। কিন্তু কাদা ও খানা-খন্দে রিকশা, ভ্যান এমনকি মোটরসাইকেলও চলাচল করতে পারছে না।

কুমারখালী গ্রামের মো. সামেদ আলী বলেন, “এই রাস্তা বহু বছর ধরে সংস্কারের অপেক্ষায় আছে। বর্ষায় হাঁটাও যায় না। সবচেয়ে কষ্ট হয় ছোট ছোট স্কুলশিশুদের।”

খাতেজা বিবি বলেন, “অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে নিতে গিয়ে এত ভোগান্তি হয়েছে যে ভাষায় বোঝানো যাবে না।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারা বেগম বলেন, “বর্ষায় অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারে না। এতে পড়াশোনায় স্থবিরতা দেখা দেয়, নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে।”

স্থানীয়রা জানান, বারবার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বয়রাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কুমারখালীর এই রাস্তাটি ছাড়া আর কোনো রাস্তা এত খারাপ নেই। অনেকবার উপজেলা সভায় বিষয়টি তুলেছি। মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার করেছি। এটি এলজিইডির আওতায় পড়ে এবং অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। সরকার পরিবর্তনের কারণে প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নতুন উপজেলা প্রকৌশলী ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি দ্রুতই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হোক।

0Shares