সাতকানিয়ায় ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী পলাশ গ্রেফতার

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী পলাশ দাশ (৪০) কে জেলার পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

রবিবার (০৮ জুন) বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল পটিয়া উপজেলার সেবাশ্রম মন্দির এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত পলাশ দাস সাতকানিয়া উপজেলার কেওঁচিয়া নন্দীপাড়া এলাকার সুনীল দাশের ছেলে এবং কেরানীহাটের কর্ণফুলী মার্কেটের জয় স্টোর নামে একটি মুদি দোকানের মালিক।

সংবাদপত্রে প্রেরিত র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভুক্তভোগী ভিকটিম একজন ডিভোর্সী মহিলা এবং ২ সন্তানের জননী। ভিকটিম তার সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানাধীন কেরানীরহাট এলাকায় বসবাস করতেন। বসবাস সূত্রে স্থানীয় বাজারের মুদির দোকানী জৈনক পলাশ দাশের সাথে পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এক পর্যায়ে গত ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর ভিকটিম পলাশ দাশের মুদির দোকানে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পলাশ থাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম জানতে পারেন যে, পলাশ হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের এবং তার পূর্বে স্ত্রী ও সন্তান রযেছে। জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ ভিকটিমকে জানায় যে, সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করবে এবং ভিকটিমের সাথে সংসার করবে। এরূপ আশ্বাসে ভিকটিম এবং পলাশ দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়া বাসা নিয়ে একত্রে বসবাস করে এবং ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ভিকটিম বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে পলাশ দাশ ভিকটিমকে মারধরসহ গর্ভের সন্তানটি নষ্ট কারার জন্য হুমকি প্রদান করে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম আরও জানায়, এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলার দায়ের করেন।

পরবর্তীতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ওই মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী পলাশ দাসকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে রবিবার (০৮ জুন) বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন সেবাশ্রম মন্দির এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী পলাশ দাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী পলাশ দাসকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সাতকানিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

0Shares