
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমার কাটা সিকদার পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের জামায়াত নেতা খুন হয়। এ সময় খায়রুল সিকদার (৩০) নামের আরো একজন গুরুত্বর জখম হয়।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২১ মে (বুধবার) রাতে ৫জন এজাহার নামীয়সহ আরো ৩ জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আরমান হোসেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন সুজন (৩৫) কে তাৎক্ষণিক পুলিশ আটক করেছে। পরে সেনবাহিনীসহ পুলিশের যৌথটিম অভিযান চালিয়ে অন্যদের আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ। আটকৃতরা একই পরিবারের সদস্য বলে জানা যায়।
আটকৃতরা হলেন, নিহত জামায়াত নেতা আরিফুল ইসলামের চাচাত ভাই সাজ্জাদ হোসেন সুজন (৩৫), তার মা ফাতেমা বেগম (৫৫), বোন রেশমী আক্তার (২২), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রচনা আক্তার (২৮), ঘাতক সুজনের স্ত্রী জাকিয়া সোলতানা সুমাইয়া (২৫) আটক সবাই কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড খোজাখালি হাছিমার কাটা সিকদার পাড়ার বাসিন্দা।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম জানান, জামায়াত নেতা আরিফুল খুনের ঘটনায় তার ভাই আরমান হোসেন বাদী হয়ে একই পরিবারের ৫জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে অজ্ঞাত আরো ৩ জন আছে উল্লেখ করে এজাহার জমা দিলে তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করি। পরে আটকৃদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রধান ঘাতক সাজ্জাদ হোসেন সুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছুরিকাঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে কিছুদিন পুর্বে সাজ্জাত হোসেন সুজনের সাথে জামায়াত নেতা আরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার রেশ ধরে ২০মে (মঙ্গলবার) সকালে সুজনের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলে জামায়ত নেতা আরিফুল খুন হয়। এসময় তার মামাত ভাই খায়রুল সিকদার নামে আরেকজন গুরুত্বর আহত হয়। তিনি বর্তমানে চট্রগ্রামে মেডিকেল হসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন।