চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তচড়া ঘাটে নৌপথে ফেরি চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সকল ঝুঁকি হয়রানীর অবসান ঘটেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল পৌনে ৯ টায় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।
উদ্বোধন পরবর্তীতে অন্তবর্তী সরকারের ৬ উপদেষ্টাসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে কপোতাক্ষ নামক ফেরিটি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে নৌপথে গুপ্তচড়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এদিকে বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিটি সোয়া এক ঘন্টায় অতিথিদের নিয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তচড়া ঘাটে পৌছে। সেখানে পৌঁছে উপদেষ্টাগণ ঢাকা-সন্দ্বীপ রুটে বিআরটিসি বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সোমবার বিকেলে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাস্মদ ইউনুস।
ফেরি কপোতাক্ষের মাস্টার শামসুল আলম জানান, ফেরিতে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৩৫ টি যানবাহন উঠতে পারবে। পাশাপাশি ৬০০ জন মানুষও উঠতে পারবে। ফেরি পারাপারে সাধারণ যাত্রীদের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০০ টাকা, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ৫০০ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি ৯০০ টাকা, বাস ৩ হাজার ৩০০ টাকা, ট্রাক ৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১০ চাকার গাড়ির ভাড়া ৭ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন,জোয়ার-ভাটা হিসেব করে প্রতিদিন যাওয়া-আসা মিলিয়ে চারবার ফেরি চলাচল করবে। এতে বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তচড়া ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট।
