
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় খুন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কর্মপরিষদ নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১০ মার্চ) জেলা কর্মপরিষদের এক বৈঠকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী স্বৈরাচার আমলে খুন, সন্ত্রাস বিশেষ করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হরহামেশায় দেখা যেত, কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রাপ্তির পর তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। সম্প্রতি ৩ মার্চ রাত পৌনে ১০টায় সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় নৃশংসভাবে হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে পতিত স্বৈরাচারের সন্ত্রাসীরা। পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে ডেকে নিয়ে মানিক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা মব সৃষ্টি করে জোটবদ্ধভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে যা গণমাধ্যমে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করে অপরাধীদের পার পাইয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার মামলা হলেও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার না করা, খুবই দুঃখজনক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীর প্রতি গণমানুষের অনাস্থা ও অবিশ্বাস তৈরি হোক সেটি আমরা চাই না। তবে সাতকানিয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের মন্তব্য, ভূমিকা ও নির্লিপ্ততা নিয়ে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, এতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারে না করে ঘটনাটি ভিন্নভাবে প্রবাহিত করছে বলে প্রতীয়মান।
গণমানুষের ন্যায়বিচারের প্রত্যাশাকে বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বউদ্যোগে দ্রুততার সাথে অপরাধ দমনে ও সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে সাতকানিয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ ও ড. হেলাল উদ্দিন মুহাম্মদ নোমান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, এডভোকেট আবু নাছের, জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান ও মাওলানা নুরুল হোসাইন, অফিস সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল হক, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা আরেফে জামী ও মাওলানা আরিফুর রশীদ প্রমুখ।