
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমারা গণমাধ্যমে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে বলতে শুনেছি তারা প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। আমাদের প্রশ্ন, তারা এত টাকা কিভাবে উপার্জন করছেন? তাদের আয়ের উৎস কী?
শুক্রবার (০৭ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথায় পাচ্ছে এটা আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।’
ছাত্রদলের এ প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রশিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম শুক্রবার রাতেই নিজের ফেসবুক আইডিতে বলেন, ‘আমাদের আয়ের উৎসগুলো আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট বলা আছে।’
‘অর্থ-ব্যবস্থা/বায়তুলমাল, ধারা-৩৬ : সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে।
কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস।’
তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশনের জমানো টাকা দান করেন। মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেন। বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল আমাদের দিয়ে দেন। ভাইয়েরা তাদের বেতনের টাকা কোনো প্রকার চিন্তা ভাবনা ছাড়াই আমাদের দেন। সাবেক ভাইয়েরা আমাদের টাকা দেন, বিপদে আশ্রয় দেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয়-ব্যয় নেই। আমাদের যা আয়-ব্যয় সব সংগঠনের জন্য নিবেদিত।
এক পর্যায়ে শিবিরের এ নেতা বলেন, যারা আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের অনুরোধ করব বুকে হাত দিয়ে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেন, আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?