
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত রাখার জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩সালে একটি আইন করে। ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ শীর্ষক ওই আইনে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক এখনও এনআইডি ইসির অধীনেই আছে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাসহ সুশীল সমাজ এবং সাধারণ মানুষ কার্যক্রমটি ইসির অধীনেই রাখার দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা ২০২৩সালের নতুন আইনটি বাতিল করার দাবি জানান। এরপর বৃহস্পতিবার আইনটি বাতিল হলো।
প্রসঙ্গত, এনআইডি আইন-২০২৩ বাতিল করতে বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো হয়।
ইসি চিঠিতে উল্লেখ করেছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯(১) অনুসারে রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। ২০২৩সালের ১৮সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ জারি করা হলেও আইনের ধারা ১(২) অনুযায়ী গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির শর্ত থাকলেও অদ্যাবধি তা করা হয়নি বিধায় ধারা ৩০(৩)’র উপধারা ১(খ) অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন হতে পরিচালিত হচ্ছে।