গাজায় ১৫ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ নামের গণহত্যা বন্ধে হামাস ও ইসরায়েল একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
কয়েক মাস আলোচনা শেষে দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর খবর সামনে এলো। এই আলোচনায় কাতার ছিল প্রধান মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে একটি।
বিবিসির গাজা প্রতিনিধি রুশদি আবু আলোফ বলেছেন, চুক্তিটি গাজার কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী হামাস। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। হামাস প্রায় আড়াইশজনকে জিম্মি করে। এরপর ইসরায়েল গাজায় হামলা চালায়।
ইসরায়েলের হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিরা সড়কে উদযাপন শুরু করেছেন। অন্যদিকে তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ হলো প্রাথমিকভাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি। এই সময়কালে, হামাস ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। প্রত্যেক জিম্মি মুক্তির বিপরীতে ইসরায়েল কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েল গাজা উপত্যকার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে পূর্ব দিকের বাফার জোনে স্থানান্তরিত করবে।
গাজায় আরও মানবিক সহায়তা ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে– এবং গাজার ২০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের ঘরে ফেরার জন্য একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া শুরু হবে।
