
সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আর জামায়াতে ইসলামী হলো সেই সোনার মানুষ গড়ার কারখানা। বাংলাদেশে এটা প্রমানিত জামায়াতে ইসলামী ছাড়া কিছু করার মতো শক্তি আর দেখছি না। আল্লাহর উপর ভরসা করে বলতে চাই জামায়াতে ইসলামীর ভাইয়েরা সোনার মানুষ, এরা পরশ পাথর। এই পরশ পাথরের মাধ্যমে এদেশের মানুষ সোনার মানুষে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা এই সম্ভাবনার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, আমাকে আমার সংগঠন বিশ্বনাথ-ওসমানী নগরে পাঠিয়েছে। আমি পরশ পাথর হিসেবে এই সোনার মানুষগুলোর সাথে থাকব, তাদের দু:খ-দুর্দশা গোছানোর চেষ্টা করব। এখন থেকে সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি ও বিশ্বনাথ-ওসমানী নগরের ঘরে ঘরে আমার সালাম পৌছে দিবেন।
১০ জুন (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য, সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সিলেট-২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান।
বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মতিউর রহমান ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী জাহেদুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ পৌর জামায়াতের আমীর এইচ এম আখতার ফারুক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সিলেট জেলা মজলিসে শুরার সদস্য ও বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আব্দুল কাইয়ুম, বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার ইমাদ উদ্দিন, বিশ্বনাথ পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুস সোবহান, বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মাস্টার মাহফুজুর রহমান বাবুল মিয়া, উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী আব্দুল মুকসিত আখতার, উপজেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক আশিকুর রহমান, বিশ্বনাথ উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি হাফিজ মাওলানা মোহাম্মদ আলী, পৌর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শাহিন আহমদ রাজু, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর গিয়াস উদ্দিন সাদি, পৌর জামায়াতের উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন পৌর জামায়াতের ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম।