সাতকানিয়ায় বিধবা ও তার মেয়েকে মেরে বাড়িছাড়া করেছে এক আ’লীগ সন্ত্রাসী

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক বিধবা ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মারধর করে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সৈয়দ নুর নামে এক আওয়ামী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব নলুয়া এলাকায়।

এঘটনায় অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও মাদকসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত সৈয়দ নুর, তার ভাগিনা কিশোর গ্যাং লিডার খ্যাত ইয়সিন ফরহাদ ও বোন জেসমিন আকতার রুনার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করে নানা হুমকিতে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিধবা মায়মুনা ও তার কলেজ পড়–য়া মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া।

অভিযোগে প্রকাশ, বিধবা মায়মুনা বেগমের সাথে সৈয়দ নুরের বোন জেসমিন আকতার রুনার পারিবারিক ও জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ মিমাংসায় সামাজিকভাবে বারবার শালিস বৈঠক হলেও তা অগ্রাহ্য করে জেসমিন আকতার রুনার পক্ষ। ফলে বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে যায়।

এক পর্যায়ে গত সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে জেসমিন আকতার রুনা, তার ভাই আওয়ামী সন্ত্রাসী সৈয়দ নুর ও ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার ইয়সিন ফরহাদকে সাথে নিয়ে বিধবা মায়মুনা বেগম ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল মাওয়ার উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এব‌্যাপারে সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি মায়মুনা।

এব্যাপারে ভুক্তভোগি বিধবা মায়মুনা বেগম জানান, থানায় অভিযোগ করার পর থেকে তাদেরকে নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা মা-মেয়ে এখন এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয়ে আছেন।

বিধবা মায়মুনা বেগমের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া বলেন, পুলিশ তাদেরকে আটক করবে বলে জানিয়েছে। তারপরও ভয় হয় কলেজে আসা-যাওয়ার পথে তারা আমার ক্ষতি করতে পারে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সৈয়দ নুর ও তার ভাগিনা ইয়াসিন ফরহাদের সাথে বারবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে অপর অভিযুক্ত জেসমিন আকতার রুনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা মা-মেয়ে প্রথমে আমার ছেলেকে মারধর করেছে। আমি ও আমার ভাই এসে আমার ছেলেকে রক্ষা করেছি।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহেদুল ইসলাম।

0Shares