
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সরকারি খাসজমি ও কৃষির জন্য বন্দোবস্তকৃত জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এতে স্থানীয় কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিটি ইটভাটায় এস্কেভেটর, ট্রাক্টর ও ট্রাক ব্যবহার করে সরকারি খাল ও খাস জমি থেকে বিপুল পরিমাণ মাটি কেটে আনা হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, এসব ইটভাটায় বছরে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি ইট উৎপাদিত হয়। ফলে খাস জমি, ম্যানগ্রোভ বন ও চাষযোগ্য জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং কুষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, “আমরা কৃষির জন্য জমি ব্যবহার করি। অথচ এই অবৈধ ইটভাটার কারণে আমাদের ফসলি জমি ধ্বংস হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।”
অভিযোগ রয়েছে, এসব ইটভাটা বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই গড়ে তুলেছেন। কেবল একজন নেতার নামে তিনটি ইটভাটা অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া তার নামে-বেনামে আরও ৬-৭টি ইটভাটা চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে বন্ধ ও চালুসহ ১৬টি ইটভাটা আছে। এর মধ্যে মাত্র একটি ইটভাটার অনুমোদন থাকলেও তা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রবিহীন। বাকি ১৫ টির কোনো অনুমোদন নেই।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাল, বিল, সরকারি খাস জমি কিংবা চরাঞ্চল থেকে মাটি কেটে ইট তৈরি আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও প্রভাবশালীদের প্রভাবের কারণে কার্যকর কোনো ফল মিলছে না।
পরিবেশবিদদের মতে, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হলে স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। নাহলে সন্দ্বীপের খাস জমি ও চাষযোগ্য জমির অবনতি অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংন মারমা বলেন, “আমি নতুন এসেছি। বিষয়টির খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”