
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষের ভোটেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নির্ধারিত হবে। আগামী নির্বাচনে শ্রমজীবী মানুষরা যাদেরকে ভোট প্রদান করবেন তারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবে।
শনিবার (০৯ আগস্ট) জামালখানস্থ মহানগরীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের কার্যকরী পরিষদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী-এর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি নজির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উল্লাহ, অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, অফিস সম্পাদক স ম শামীম, সহ-প্রচার সম্পাদক আবদুর রহিম মানিক, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার ও পাঠাগার সম্পাদক ইন্জি:সাইফুল ইসলাম, আইন আদালত সম্পাদক সাব্বির আহমদ উসমানী প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রম আইন সহ নানা আইন কানুন করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এসব আইন-কানুন শুধুমাত্র কাগজে লিপিবদ্ধ হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ নেতাদের কথার ফুলঝুরিতে বিভ্রান্ত হয়ে তাদেরকে বছরের পর বছর রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্পণ করেছে। কিন্তু এসব নেতারা রাষ্ট্রক্ষমতা পেয়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা বেমালুম ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা আসীন হয় তারা উচ্চবিত্তদের সরকারে পরিণত হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় রাষ্ট্রক্ষমতায় শ্রমিক দরদী ও সৎ দক্ষ খোদাভীরু নেতৃত্বের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা অর্পণ করা।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবে শ্রমিকরা নিঃসঙ্কোচে জীবন দিয়েছে। অথচ বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাঙ্ক্ষিত মূল্যায়ন আমরা প্রত্যক্ষ করছি না। শ্রমিকদের রক্তের সাথে যারা বেঈমানি করছে তাদেরকে শ্রমিক জনতা ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছি। যেখানে শ্রমিকরা তাদের অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে সম্মানের সাথে বসবাস করবে। আগামী দিনে যারা শ্রমিকদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে শ্রমিকরা তাদের পক্ষে কণ্ঠ উঁচু করবে।