শাপলা চত্বরের গণহত‌্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় শিবিরের ক্ষোভ

আজ ৫ মে। রাজধানী ঢাকার শাপলা চত্বরে এদিন পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মদদে দেশের আলেম-উলামাদের ওপর চালানো হয় গণহত‌্যা। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালানোর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর চালানো এ নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার (০৫ মে) সকালে রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার দাবিতে মহানগর ছাত্রশিবির আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ প্রশ্ন তোলেন সংগঠনটির নেতারা। এ সময় শেখ হাসিনার আমলের সকল গণহত্যা ও হত্যাকাণ্ডেরও বিচার দাবি করেন তারা।

ছাত্রশিবিরের নেতাদের দাবি, গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৯ মাসেও স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে নির্দেশদাতা, নেপথ্যের কারিগর এবং সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

এ সময় মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি নুরুল হুদা বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে রাতের আঁধারে অসংখ্য আলেমকে খুন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশে হত্যা সংঘটিত হলেও এখনও বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ ছাড়া জুলাই গণহত্যার বিচার না হওয়ায় আন্দোলনের নায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে তা ভয়াবহ ইঙ্গিত দেয়। এ জন্য পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদকারীদের গুলি করে হত্যা, ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে স্বাধীন কমিশন গঠন করার দাবি জানান তিনি।

মহানগর সেক্রেটারি আনিসুর রহমান বলেন, আমরা শাপলা চত্বর ও মোদিবিরোধী আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। ভারতীয় ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী দালালদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশে ফ্যাসিস্টদের কোনো স্থান হবে না।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সোহেল রানা, জেলা সেক্রেটারি হামিদুল ইসলাম, মহানগর প্রচার সম্পাদক আতিকুজ্জামান আতিক, কারমাইকেল কলেজ সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।

0Shares