
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বেথেল পাড়া ও তার আশেপাশে মুসল্লি ও স্থানীয় জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সহাবস্থান ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতি জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিংমং শাক, মুখপাত্র পাইশিখই মারমা, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহীন আলম, চট্টগ্রাম মহানগরের সংগঠক অং সি থোয়াই মারমা এবং সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
লিফলেটে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ভূমি সমস্যার ন্যায়সংগত সমাধান, চাঁদাবাজি ও সহিংসতা বন্ধ, বৈষম্যহীন সহাবস্থান এবং সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবিসহ দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা যুক্ত করা হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসীন্দারা বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ১৯৭২ সালের সংবিধানে পরিচালিত না হয়ে ১৯০০ সনের ব্রিটিশ রেগুলেশন আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ব্রিটিশের নাগরিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। দেশে দ্বৈত আইন বাতিল না হলে স্থায়ী শান্তি ফিরবে না।পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধে একত্রিত হতে হবে। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে বিভেদ, সহিংসতা ও উসকানিমূলক রাজনীতি থেকে দূরে রেখে উন্নয়ন ও নিরাপত্তার পথে এগিয়ে যেতে হবে।
আগামী এক মাস ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-এই তিন জেলায় ধারাবাহিকভাবে লিফলেট বিতরণ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে বলে জানান সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিংমং শাক।




