
জামালপুরের মাদারগঞ্জে হত-দরিদ্র নারীদের দর্জি প্রশিক্ষণের ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন রুবিনা আকতার নামে একজন প্রশিক্ষণার্থী।
রবিবার (০৪ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ আগামী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে দ্বিতীয় ব্যাচে ৩০ জন হত-দরিদ্র নারী প্রশিক্ষণ করেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ শেষে ৬ হাজার ৩০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। কিন্তু অফিস সহকারী মোশারফ হোসেন ৩০ জনের ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে ২১ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করে বাকী ৯ প্রশিক্ষণার্থীর ৫৭ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন।
একইভাবে ১ম ব্যাচের ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীর ভাতা উত্তোলন করে ২৩ জনের মাঝে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করে বাকী ৭ জনের ৪৪ হাজার ১০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। তৃতীয় ব্যাচ শেষ হয়েগেলেও প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা পরিশোধ করেননি তিনি। ৩য় ও ৪র্থ ব্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীর ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সম্প্রতি লাপাত্তা হয়েছেন মোশারফ হোসেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ।
প্রশিক্ষণার্থী সুমাইয়া পারভীন বলেন, ৩ মাস কষ্ট করে ট্রেনিং করেছি। মোশারফ স্যার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কাগজপত্রও নিলেও আমরা টাকা পাচ্ছি না। মোশারফ স্যার আমাদের ভাতার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে। আমরা তার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোশারফ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শায়লা নাজনীন বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও স্যার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের পর মন্তব্য করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ নাদির বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট পেশ করার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।