
কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী পর্যন্ত মিষ্টি পান সরবরাহের আড়ালে দেশীয় অস্ত্র পাচারকালে দুই অস্ত্র চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী।
রবিবার (০৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী সিএনজি স্টেশনে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে পানের বস্তার ভেতরে লুকানো ৭টি দেশীয় অস্ত্রসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। সিএনজি অটোরিকশায় গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই যৌথ বাহিনী তাদের গতিরোধ করে অস্ত্র উদ্ধারে সক্ষম হয়। তবে অভিযান-পরবর্তী সময়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়া থেকে বাঁশখালীর উদ্দেশে পাচার হচ্ছিল বলে জানা যায়।
গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে র্যাব ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। বদরখালীর প্রবেশপথে নজরদারি বাড়ানো হয়, গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয় এবং সন্দেহজনক গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হয়। একপর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে পানের বস্তার ভিতর তল্লাশি করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র চোরাচালানের একটি সুগভীর নেটওয়ার্কের সম্ভাবনার আভাস মিলেছে।
গ্রেফতারকৃতদের একজন হচ্ছেন মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়ার বাসিন্দা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং অপরজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল গ্রামের মুহাম্মদ আইয়ুব আলী। এসময় তাদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিও জব্দ করে যৌথ বাহিনী।
মহেশখালীসহ পার্বত্য ও উপকূলীয় এলাকায় চোরাচালান, মাদক ও অস্ত্র পাচার দীর্ঘদিনের সমস্যা। যৌথ বাহিনীর সফল এই অভিযান প্রশাসনিক তৎপরতার ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তবে অনেকেই বলছেন, এ ধরনের চক্র শুধু বাহক দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়, এর পেছনে রয়ে গেছে শক্তিশালী প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষকতা। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গোড়ায় আঘাত হানা না গেলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) আ. ম. ফারুক এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।