
বান্দরবানের লামার আলোচিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির লাইনঝিরি অফিস থেকে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ডাকাতির ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযানে লামা ও পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেউলা ইউনিয়নের পদ্মাছড়া এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ (৩৩), একই উপজেলার লক্ষ্যাচর ইউনিয়নের নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর (৩১), লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম (৩৬), একই এলাকার মো. সুজন (২৫) এবং সাবেক বিলছড়ি সিলেটিপাড়ার আনোয়ারা বেগম (৪৫)।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৫ ও ১৬ মে) আটককৃতদের দেয়া তথ্যমতে পৃথক তিনটি অভিযানে মাটি খুঁড়ে ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করেছে লামা থানা পুলিশ।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার এক অভিযানে লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড (সাবেক বিলছড়ি সিলেটি পাড়ার ওয়াসির আলীর পাহাড়) এলাকায় মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং শনিবার (১৭ মে) করিমের বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ওয়াসের আলীর ছেলে মো. করিম দক্ষিণ চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা ডাকার দলের অন্যতম সদস্য বলে জানা গেছে। তাকে এই ডাকাতির ঘটনা ও টাকা লুটের প্রধান মাস্টারমাইন্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। অন্য ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা ও টাকা উদ্ধারে মাঠে কাজ করছে লামা থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (০৯ মে) ভোরে ১৫-১৬ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির হিসাব রক্ষকসহ অন্যদের জিম্মি করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় ডাকাত দল লোহার সিন্ধুক ভাঙার ব্যর্থ চেষ্টা করে। সেসময় লোহার সিন্ধুকে রক্ষিত ছিল আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা। ডাকাতির ঘটনায় পরদিন শনিবার (১০ মে) লামা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা হয়।