
ফরিদপুরে জঙ্গলে ফেলে রাখা এক অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মরদেহটির হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, সপ্তাহখানেক আগে হত্যা করে মরদেহটি ফেলে রাখা হয়। ওই এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর পৌর সদরের উত্তর কোমরপুরের মোল্লাবাড়ি কুমার নদ সংলগ্ন এলাকার বাহিরদিয়া গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তর কোমরপুরের মোল্লাবাড়ি কুমার নদ সংলগ্ন এলাকার বাহিরদিয়া গ্রামের জঙ্গলটির আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী jকারণ খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেখা যায়, জঙ্গলের মধ্যে মরদেহটি পড়ে রয়েছে। মরদেহের পরনে কালো কোর্ট ও কালো প্যান্ট দেখা যায়। তার হাত-পা রশি দিয়ে ও গামছা দিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় উপুড় করে রাখা ছিল। মৃতের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে পারে বলে ধারণা করছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে সাত থেকে আট দিন আগে ফেলে রাখা হয়েছে। মরদেহটি অর্ধগলিত থাকায় তার পরিচয় এখনো জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’