নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের দাফন সম্পন্ন

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের সাতজনসহ মোট আটজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে নিহতদের নিজ নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে। নিহত সবাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলাম (৫৫) ও তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্বজন। নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসচালক শাহাবুদ্দিন (৪২) ছিলেন ওই এলাকার  মালিথাপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম দাফন করা হয় মাইক্রোবাসচালক শাহাবুদ্দিনকে, তাঁর নিজ গ্রামের মালিথাপাড়া কবরস্থানে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে দৌলতপুরের প্রাগপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় নিহত জাহিদুল ইসলামের ছোট বোন রওসনারা আক্তার ইতি (৪৮)-কে। একই সময়ে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেদবাড়িয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জাহিদুল ইসলামের শাশুড়ি আনজুমান (৭৫) এবং শালিকা সীমা (৩৫)-কে।

সবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ধর্মদহ গ্রামের ফরাজি পাড়া কবরস্থানে জানাজা শেষে পাশাপাশি চারটি কবর খনন করে একত্রে দাফন করা হয় জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তাঁর স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), চাচাতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৫৫) এবং চাচাতো ভাবি আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০)-কে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসে অবস্থান করা জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান এবং আনোয়ারা খাতুনের ছেলে সুইট রানা দেশে ফেরার পরই এই চারজনের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এবিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত  আটজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে তাদের নিজনিজ গ্রামে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ধর্মদহ গিয়েছিলাম, চারজনের জানাযায় অংশ নিয়েছি। এলাকায় শোকের ছায়া, এ এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। শান্তনা দেবার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

0Shares