
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল নামের এক নারী সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২০ জুলাই) তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে, শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি এবং নবীনগর রিপোর্টার্স ক্লাবের দফতর সম্পাদক।
তার গ্রেফতারের খবরে রাতেই স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী আনন্দ প্রকাশ করে থানা গেটের সামনে এসে অন্যান্য আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতারের দাবিতে তাৎক্ষণিক এক বিক্ষোভ মিছিল করে।
জানা যায় ,সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল নবীনগরে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আলোচনায় এসেছিলেন। ওই নির্বাচনী পোস্টারে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি ব্যবহার করেছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
এরপর ‘জনতার ভাইস চেয়ারম্যান’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে নিয়মিত নানা বিষয়ে লেখালেখি করতেন। সবশেষ গত সপ্তাহে সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল তার ‘জনতার ভাইস চেয়ারম্যান পুতুল’ নামের ফেসবুক পেজটি থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত একটি পোস্ট দিয়ে সমালোচিত হন।
এব্যাপারে তার স্বামী প্রবাসী আক্তার হোসেন বলেন, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এই অন্যায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, তিনি গত একমাস আগেই আমাদের ক্লাব থেকে চলে গেছেন তবে একজন সাংবাদিক হিসেবে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের আগে উপজেলার শিবপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় পুতুলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাই ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।