
চট্টগ্রাম নগরীতে কোনও সন্ত্রাসী বাহিনী বা গ্রুপ থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাসিব আজিজ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য কোনও বাহিনী থাকতে পারবে না। সাজ্জাদ বাহিনী, লাল্টু বাহিনী, পল্টু বাহিনী- এই সমস্ত বাহিনীকে নির্মূল করতে হবে। নির্মূল মানে নির্মূল। প্রয়োজনে চরম পন্থা অবলম্বন করতেও আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করবো না।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসিব আজিজ বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে সাঁড়াশি অভিযান চলমান। এই অভিযান আমরা আরও তিন-চার মাস আগেই শুরু করেছি। নির্বাচন সংক্রান্ত নানা রকমের চ্যালেঞ্জ আছেঃ চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু এখন মোটামুটি দৃশ্যমান। আমরা বুঝতে পারছি কোন কোন জায়গা থেকে কী কী ধরনের ঝুঁকি আমাদের উপর আসতে পারে।
তিনি বলেন, এতদিন ছিল ‘পতিত স্বৈরাচার’, এখন আসছে ‘বিতাড়িত স্বৈরাচার’। এই বিতাড়িত স্বৈরাচারের যারা বিদেশি প্রভু, তারা চেষ্টা করছে এখানে নানা রকমের সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনটা হতে না দেওয়া এবং একটা পর্যায়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাদের এই প্রচেষ্টাকে আমাদের নস্যাৎ করতে হবে। অবশ্যই নস্যাৎ করতে হবে।
পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার জানান, লুণ্ঠিত অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ অস্ত্র পাহাড়ি এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের হাতে চলে গেছে বলে তথ্য রয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে এসব অস্ত্র উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে সমস্ত অপকর্ম হচ্ছে, সেসবের তথ্য পুলিশকে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নগরবাসী অপকর্মের তথ্য দিলেই পুলিশের পক্ষে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা সহজ হবে।




