
বরগুনার তালতলী উপজেলার ৭নং সোনাকাটা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সোনাকাটা গ্রামের ইকোপার্ক সংলগ্ন একটি সেতুর কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ আছে। সেতুর কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার দক্ষিণা খালের ওপর (সোনাকাটা খাল) একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৭ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬,৯৭,৬৪,৭১৫ টাকা। বরিশালের আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুটির দুই পাড়ের অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পরেও মাঝখানে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যর স্প্যানটি বসানো হয়নি আড়াই বছরেও।
জানা যায়, এলাকার কতিপয় ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। তারা অভিযোগ করেছিলেন সেতুর উচ্চতা কম করা হয়েছে।
কিন্তু এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জানান, যে খালের উপরে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি একটি ছোট খাল। কিছুসংখ্যক ছোট মাছধরা ট্রলার ছাড়া ওই নদী দিয়ে তেমন কোন জলযান চলাচল করে না। সেতুটি যে উচ্চতায় হচ্ছে তাতে কোন সমস্যা হবে না।
সোনাকাটা গ্রামের মৎস ব্যবসায়ী মোঃ মহসিন বলেন, এই ছোট খালটি দিয়ে কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরার ট্রলার ছাড়া তেমন কোনো জলযান চলাচল করে না। যে উচ্চতায় সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে ট্রলার চলাচলে কোন সমস্যা হবেনা। সেতুর অবস্থান থেকে একটু সামনে গেলেই খালটি শেষ হয়ে গেছে।
সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী বলেন, সেতুর কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করতে এলজিইডিতে লিখিত দাবী করেছি। যে উচ্চতায় সেতুর কাজ করা হচ্ছে এই উচ্চতায় এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবেনা।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতুর উচ্চতা কম এমন অভিযোগে সেতুর কাজ বন্ধ আছে। এলাকাবাসী আমাদের কাছে একটি লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন যাতে দ্রুত সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হয়। আমরা একাধিক বার সেতুটি পরিদর্শন করেছি।
বরগুনা জেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজ বন্ধ আছে। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানের একটি আবেদন পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব সেতুর কাজটি পুনরায় শুরু করে সম্পন্ন করার।