জামায়াত নেতা নজরুল হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের মূল আসামীকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু ও নিহত নজরুল ইসলামের দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি রিফাত (১৬) শীতলগ্রাম নানা বাড়িতে বসবাস করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় থানায় আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটির তদন্ত শুরু করে। আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মূল আসামিকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, গাইবান্ধা সদর থানার নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং সেন্টারের ২নং আবাসিক ভবনের ১৯ নম্বর কক্ষ থেকে আজ ১৮ আগষ্ট ভোর ৫টা নাগাদ আসামী রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রিফাত জানায় নিহত নজরুল ইসলামের দোকানে ফ্লেক্সিলোডের এগার’শ টাকা বাকি পড়ছিল, এরই মধ্যেই গত প্রায় দেড় মাস পূর্বে রিফাত তার অপর দুই সহযোগি সহ নিহত নজরুলের দোকানে চুরি করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী রিফাতকে ধরে মারধর সহ ৬০ টাকা জরিমানা করে। ওই ঘটনার জেরে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ক্ষতি করার সুযোগ খুজতে থাকে রিফাত।

তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন বাড়ী ফেরার পথে পাওনা এগার’শ টাকা পরিশোধ করবে মর্মে রিফাত নজরুলকে ফোন করে। পরে নজরুল কানিপাড়াগামী কাচা রাস্তার মাথায় পৌঁছলে সেখানে রিফাতের সাথে নজরুলের দেখা হয়। এক পর্যায়ে দু’জন কথা বলতে বলতে হাটতে থাকে এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ক্লোরোফম মিশানো রুমাল দিয়ে রিফাত নজরুলের নাক মুখ চেপে ধরে, এতে নজরুল অজ্ঞান হয়ে পরলে টেনে হিচরে পাশের জমিতে নিয়ে গলাকেটে নজরুলকে হত্যা করে তার পকেটে থাকা দুইটি মোবাইল নিয়ে নেয়।

ওসি জানান, এরপর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জনৈক বছির উদ্দিনের পুকুরে ফেলে দেয়। এছাড়াও মোবাইল ফোন দুুটিও পৃথক দুুটি জায়গায় ফেলে দেয়। মামলার অন্যান্য দিক নিয়েও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0Shares