চট্টগ্রামের চন্দনাইশে স্কেভেটর দিয়ে মাটিকাটা সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সর্বত্র দিন-রাত ফসলি জমি থেকে বেপরোয়াভাবে মাটি কাটায় ব্যস্ত অর্ধশতাধিক চক্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না টপসয়েল কাটা। বেপরোয়া মাটিখেকোদের কাছে অসহায় প্রশাসন।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত ১৫ বছর ১টি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় টপসয়েল পাচারকারী মাটিখেকোরা ৫ আগস্টের পর দল পরিবর্তন করে পুনরায় মাটি কেটে যাচ্ছে। জমির টপসয়েল কাটার পাশাপাশি তারা পাহাড়ি এলাকার টিলা কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় অর্ধশতাধিক মাটিকাটা সিন্ডিকেট ফসলি জমি ও পাহাড়ের টিলার মাটি কেটে নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটা, পুকুর, ডোবা, নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট, নিচু জমি ভরাট করে যাচ্ছে। উপজেলার পাহাড়ি এলাকা কাঞ্চননগর, লর্ড এলাহাবাদ, হাশিমপুর, ধোপাছড়ি, বৈলতলী, চন্দনাইশ পৌরসভা, জোয়ারা, বরকল, বরমা, সাতবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটিখেকোরা।
অভিযোগ রয়েছে, গাড়ি থেকে মাটি পড়ে সড়ক ধূলিময় হওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। ধুলাবালির কারণে পথচারীদের সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগতে হচ্ছে। এছাড়া মাটি পড়ে সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, মাটি কাটা লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একদিকে অভিযান পরিচালনা করলে তারা অন্যদিকে মাটি কাটে। কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড, বিনাশ্রম কারাদণ্ড, মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর, ডাম্পার, ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
