
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একইদিনে আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে গোলকধাঁধা সৃষ্টি করেছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জামায়াতসহ ৮ দলের যৌক্তিক দাবি পাশ কাটিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে মহানগরী জামায়াতের কার্যালয়ে আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ ডিসেম্বর লালদীঘির মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ঐতিহ্য হলো গণভোট আলাদাভাবেই আয়োজন করা। একইদিনে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে কোনটির ফলাফল আগে ঘোষণা করা হবে? গণভোটে ‘না’ জয়ী হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কি দশা হবে? কোথাও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে নির্বাচন স্থগিত করতে হলে গণভোটের কি হাল হবে? এখন সরকারকেই সেই সংকট নিরসন করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, মাওলানা মমতাজুর রহমান, আমির হোছাইন, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসেন, ফখরে জাহান সিরাজী, মাহমুদুল আলম, প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ফারুকে আজম, ড. আ ম ম মাসরুর হোসাইন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের পূর্বে আলাদাভাবে গণভোট দিয়ে জুলাই সনদের আইনি মর্যাদা প্রদান, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে প্রতিটি ভোটার ও ছোট-বড় প্রতিটি দলের মর্যাদা সমুন্নত করা, পলাতক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যা, দুর্নীতিসহ জুলুম-নির্যাতনের দৃশ্যমান বিচার, পতিত স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবিতে ৫ ডিসেম্ব লালদীঘির মাঠে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।




