চকরিয়ায় অগ্নিকান্ডে ৫ বাড়ি পুড়ে ছাঁই : ক্ষয়ক্ষতি ২০ লাখ

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড  বায়তুশ শরফ মিয়াজী পাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এসময় বসতঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় চকরিয়া পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড মিয়াজী পাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, শ্রমিক নেতা জামাল উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আলী আকবর বাহাদুর, মোহাম্মদ হাসেম ও ভূট্টো ড্রাইভার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাইতুশরফ এলাকায় বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। টিন ও বেড়ার ঘর হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরইমধ্যে জামাল উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আলী আকবর বাহাদুর, মোহাম্মদ হাসেম ও ভূট্টো ড্রাইভারের টিনের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘন্টা ধরে চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হন। এরইমধ্যে ৫টি বাড়ি সম্পূর্নভাবে পুড়ে গেছে।

এতে ৫টি বাড়িতে থাকা আসবাবপত্রসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মূল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, পৌরসভার নামার চিরিঙ্গায় কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে  আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। স্থানীয়দের তৎপরতা ও ফায়ার সার্ভিসের কারণে আশপাশের বেশকিছু বাড়িঘর রক্ষা পেয়েছে।

শ্রমিক নেতা জামাল উদ্দিন জানান, তার বাড়ি সহ আরও ৫জনের বসতঘর পুড়ে যায়। আমরা সবাই সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছি। সববাড়ি পুড়ে যাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌছেন। কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। বর্তমানে ৫টি পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।

চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম  ফোরকান জানান, তার এলাকায় ৫টি বসতঘর অগ্নিকান্ডে বাড়ি থাকা সব মালামাল পুড়ে গেছে। বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান তিনি।

একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান। তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে ৩০ কেজি শুকনো খাবার ও তিনটি কম্বল দেওয়া হয়।

0Shares