র্যালী ও আলোচনা সভা সহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পালিত হয়েছে সনাতন ধর্মের অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫১তম আবির্ভাব তিথি।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে দিনটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী ও আলোচনার উদ্ধোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।
উদ্ধোধন শেষে আনন্দ র্যালীটি খাগড়াছড়ি জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে খাগড়াছড়ি লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে এসে শেষ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির আহবায়ক অশোক মজুমদার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দেব।
এসময় বাংলাদেশ শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখার সদস্য সচিব প্রভাত তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল, সদর জোন কমান্ডার খাদিমুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার।
সভায় বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্ম একটি প্রাচীন ধর্ম। দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের পালনের জন্য প্রায় ৫ হাজার ২৫১ বছর আগে দ্বাপরযুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এক যুগ সন্ধিক্ষণে বসুদেবের স্ত্রী দেবকীর গর্ভে কংসের কারাগারে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং অত্যাচারি কংসের হাত থেকে শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের বাঁচাতে ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। শুধু সনাতন ধর্ম নয়, জগতের সকলের কল্যাণে তিনি কাজ করে গেছেন। পরবর্তীতে অত্যাচারী কংস’কে শ্রীকৃষ্ণ হত্যা করেন।
এছাড়াও জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ির সদর ও বিভিন্ন উপজেলার মন্দির থেকে ব্যানারে আনন্দ র্যালী প্রদর্শনীতে ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেন।
