
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ মিছিলে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে খাগড়াছড়ি য়ংড বিহারের রাস্তা ধরে ধর্ষণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে আসলে শহরের পানখাইয়া পাড়া রাস্তার মুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বলে জানান পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৫ এপ্রিল মধ্যরাতে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার আম্রং (বড়ডলু পাড়া) এলাকায় মোঃ ফাহিম (২৫) নামে এক যুবক এক মারমা তরুণী(২০)-কে ধর্ষন করে। পরদিন সকালে লোকজন ঘটনাটি জানার আগেই ধর্ষক পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কাউখালী থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু ঘটনার ৩দিন পার হলেও অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়। ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে রাঙামাটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
সম্প্রতি পাহাড়ে নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তার কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি বরং ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। যার কারণে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা বেড়েই চলেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে মারমা স্টুডেন্টস্ কাউন্সিল এর সাধারণ সম্পাদক উক্যনু মারমা নেতৃত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ শিক্ষার্থী কবিতা চাকমা, চম্পা মারমা, নিংথোয়াই মারমা।
শিক্ষার্থীদের বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃদা জানান, নিরাপত্তার শঙ্কায় বিক্ষোভ মিছিলে বাঁধা দেওয়া হয়েছে।