কুলিয়ারচরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ৯ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. সোহাগ মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।

অভিযুক্ত মো. সোহাগ মিয়া উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের মো. কুদ্দুস ভূইয়ার ছেলে এবং দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ডস্থ এস আর ট্রেডার্সের মালিক।

শুক্রবার (৩০ মে) রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলা নং-১৭।

মামলায় ভুক্তভোগীর বাবা উল্লেখ করেন, নিজস্ব বসতবাড়ি না থাকায় পার্শ্ববর্তী একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টার দিকে তারা স্বামী-স্ত্রী বাসায় না থাকার সুযোগে পার্শ্ববর্তী মো. কুদ্দুস ভূইয়ার ছেলে মো. সোহাগ মিয়া ঘরে প্রবেশ করে তাদের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী ডাক চিৎকার করলে সোহাগ মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে যায়। ওই ছাত্রীর পিতা-মাতা বাসায় আসলে মা-বাবাকে এঘটনা খুলে বলে। পরে ওই দিন তারা কুলিয়ারচর থানায় মৌখিক ভাবে অভিযোগ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তদন্ত করে পরদিন শুক্রবার রাতে থানায় একটি মামলা রুজু করেন।

এব্যাপারে প্রতিবেশি এনায়েতুল্লাহ, দাউদ মিয়া ও জজ মিয়া সহ অনেকেই এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

বাসার মালিক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা রহমান (৫৫) বলেন, অভিযুক্ত সোহাগ মিয়া আগেও এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।

অভিযুক্ত মো. সোহাগ মিয়ার সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগটি মিথ‌্যা দাবী করে বলেন, ওইদিন সকাল ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পথে বৃষ্টির কারণে ওই বাসার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। এ সময় বারান্দায় একটি ছোট মেয়ে পলিথিন দিয়ে তৈরি একটি জামা পড়ে আছে। তখন ওই ছাত্রীর জামায় হাত দিয়ে মেয়েটিকে “জামাটি কে তৈরি করেছে, জামাটিতো অনেক সুন্দর” বলে আদর করে। তখন মেয়েটি ভয়ে মাকে ডাকতে থাকে। এর বেশি কিছু নয়। এসময় মেয়েটির মা-বাবা কেউ বাসায় ছিলেননা বলেও জানান সোহাগ মিয়া।

কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, শুক্রবার রাতে লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

0Shares