
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার শাহজাহান রনি’র (২৫) কুয়েতে মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম পৌর প্রশাসকের মাধ্যমে পরিবার মৃত্যুর সংবাদটি জানতে পারে। শাহজাহান রনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কমলপুর গ্রামের তোফায়েল আহাম্মেদ ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে। তবে পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানকে মীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশী মীর হোসেনের মাধ্যমে কুয়েতে যান শাহজাহান রনি। সেখানে কুয়েতের সাবা আল নাসের এলাকায় মীর হোসেনের দোকানে মাসিক বেতনে কাজ করতেন রনি। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রনির সঙ্গে মীর হোসেনের বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যেও প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো।
পরিবারের অভিযোগ,
রনির বাবা তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, ২০২৩ সালে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় করে মীর হোসেনের মাধ্যমে তার ছেলেকে কুয়েতে পাঠানো হয়। সেখানে চাকরির সময় বিভিন্ন অজুহাতে মীর হোসেন রনির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হতো।
তিনি আরও বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর ভোরে রনি তার মাকে ফোন করে নির্যাতনের কথা জানিয়ে বলেছিল, ‘মা, মীরু আমাকে বাঁচতে দেবে না।’ এরপর থেকে রনির খোঁজ না পেয়ে কুয়েতে থাকা রনির এক বন্ধু রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। রনির বাসায় গিয়ে রনির কোনো সন্ধান পাননি রাকিব।
রনির বাবার অভিযোগ, গত ১৩ ডিসেম্বর মীর হোসেন বলেন, রনি জেলে আছে এবং শিগগির দেশে ফিরবে। পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করলে মীর হোসেন হুমকি দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে সমস্যা হবে।
এবিষয়ে কুয়েতে অবস্থানরত অভিযুক্ত মীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি রনিকে কুয়েতে এনে আমার দোকানে চাকরি দিয়েছিলাম। গত ৪ ডিসেম্বর সে আমাকে কিছু না জানিয়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে পরিবারের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর শুনি। আমি কখনো তাকে নির্যাতন করিনি, হত্যা তো দূরের কথা।
চৌদ্দগ্রামের ইউএনও ও পৌর প্রশাসক মো. নুরুল আমিন বলেন, “প্রবাসী কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব আমার কাছে রনির মৃত্যুসংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে পরিবারকে জানাতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ থাকলে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




