
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের চার বছরের শিশু হুমাইরা মারণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। টাকার অভাবে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না হুমাইরার। দশ দিন যাবৎ বাড়িতেই বিছানায় কাতরাচ্ছে অবুঝ শিশুটি। শিশুটির বাবা রিমন হোসেন দিন মজুরের কাজ করেন। রিমন হোসেনের দুই মেয়ে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হুমাইরা বড়। তার থাকার একটি ঘর ছিলো তাও বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসা করান, এখন তিনি শশুর বাড়িতে থাকেন। আর কিছুই নেই যা ছিল সব বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসা করিয়াছেন।
হুমাইরার মা শরিফা খাতুন জানান, এক মাস আগে হুমাইরার জ্বর আসে এবং শরীরে লালচে দাগ দেখা দিলে অনেক অসুস্থ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ডে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন, সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান, হুমাইরার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে, চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন কিমু থেরাপি দিতে হবে। তিনদিন পর পর রক্ত পরিবর্তন করতে হবে, আর চিকিৎসার জন্য প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে।
ছোট্ট এই শিশু বাচ্চাটি দীর্ঘদিন ঢাকা মিটফোর্ডে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে। বর্তমানে তার একটি করে কিমু থেরাপি দিতে হবে যার মূল্য অনেক কিন্তু টাকার অভাবে এ পর্যন্ত একটি থেরাপি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও মোট ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হলে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। যা দারিদ্র এই পরিবারের পক্ষে এত ব্যায়বহুল চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা, দিন মজুর রিমন হোসেনের আয়ে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। তাই টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে মেয়েকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, শিশুটির পরিবার খুবই দরিদ্র এবং যাহা কিছু ছিল তা বিক্রি করে চিকিৎসা করায় আজ তারা নিঃস্ব, তার পরিবারের পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসায় করানো সম্ভব নয়। তাই স্থানীয় প্রশাসন ও কোনো হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক সাহায্য পেলে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হতে পারে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হুমাইরা। হুমাইরার মা মোবাইল নাম্বার-০১৩০১৪৯৬৭১৩