ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বান্দরবানে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সকালে নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে এসে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেয়। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য বীর বাহাদুরসহ মামলার আসামি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়।
ঘেরাও ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের সমন্বয়ক মো. আসিফ ইকবাল, লুক চাকমা সহ অন্যান্যর।
এদিকে নিরাপত্তার জন্য শহরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন বলেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের দাবি আমরা সরকারের কাছে জানাব বলেছি। তারা এখন সরে গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীদের সাথে সাধারণ ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে। তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তারা ট্রাফিক মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাসায় অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে বীর বাহাদুরের বাসা ও তার ব্যক্তিগত কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিক্ষোভোর সময় বীর বাহাদুর তার বাসা থেকে সরে যান। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
