
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নে স্ত্রী মিনু আক্তারকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে খুনের পর স্বামী নাইমুদ্দিন প্রকাশ ফরিদুল আলম (৪২) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফরিদকে পুলিশ গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়াংয়ের ডোংরা কালু ফকির বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ফরিদুল আলম ওই এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফরিদুল আলমের চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মিফতাহুল রিদমা হায়দার।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ জানায়, নাইমুদ্দিন প্রকাশ ফরিদুল আলমের সাথে ১৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ইলশার অজি আহমদের মেয়ে মিনু আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোররাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাপের বাড়িতে ঘুমন্ত স্ত্রী মিনু আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে স্বামী ফরিদুল আলম পালিয়ে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে খুনের মামলার আসামি ফরিদুল আলম এলাকায় গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। এ অবস্থায় পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পুলিশি কার্যক্রম চলমান থাকবে।