
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বালু বহনকারী বাল্কহেড থেকে চাঁদা নেওয়ার সময় ইউপি সদস্যসহ ১০ জনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় ট্রলার ও ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর মাঝ যমুনায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ঘোড়জান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক সিকদার (৫৫), স্বল্পমূল্যের চালের ডিলার আল আমিন (২৪), নজরুল ইসলাম (৪৫), শহীদুল ইসলাম (৩৫), আবদুল আলীম (৪০), শরীফুল ইসলাম (৩৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), ইউনুস আলী (২৬), শহীদুল ইসলাম (৪৫) ফরিদ হোসেন (২৬)। আটককৃতরা সবাই ঘোড়জান ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, যমুনায় ইজারা নেওয়া মহাল থেকে উত্তোলন করা বালু বাল্কহেডযোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। এসব বালু বহনকারী বাল্কহেড থেকে একটি চক্র প্রতিনিয়তই চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বাল্কহেড বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। বিশেষ করে, চৌহালী উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর, রেহাই কাউলিয়া স্পটগুলোতে যমুনায় নৌকা নিয়ে চক্রটি প্রতিদিন চাঁদা তোলে। এসব চাঁদা না দিলে তাদের মারধর করা হয়।
চৌহালী নৌ-পুলিশের ওসি ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, শনিবার সকালে যমুনা নদীতে আমাদের বিশেষ অভিযান চলছিল। এ সময় বাল্কহেড থেকে চাঁদা নিচ্ছে বলে খবর আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনকে বাল্কহেডের ওপর থেকে আটক করি। ট্রলার নিয়ে পালানোর সময় অন্য ছয়জনকে আটক করা হয়। এ সময় ট্রলার ও ১০টি ফোন জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে।




