নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের ৫নংওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মুছা মিয়ার বিরুদ্ধে চেঙ্গাকান্দি এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এঘটনায় ভূক্তভোগী আবুল হোসেন বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১০-১২জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে গেলে পুলিশের সামনেই বারদী ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতিকে পিটিয়ে আহত করে নগদ ৪৪ হাজার ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, বিএনপি নেতা মুছা মিয়া সম্প্রতি আবুল হোসেনের ভাই আলী হোসেনের কাছ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে ২৮ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টায় রয়েছেন। রবিবার দুপুরে মুছা মিয়ার নেতৃত্বে মোস্তফা মিয়া, গোলজার হোসেন, মঞ্জু মিয়া, বাদল মিয়া, মো. সুমন, আহম্মদ আলী, রাসেল মিয়া ও শাহিন দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, চাপাতি, লোহার রড, কুড়াল, লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে আবুল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করে।
এঘটনায় আবুল হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে মিমাংসা করতে আসা বারদী ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা ৪৪ হাজার ৫শ টাকা ও নোট বই ছিনিয়ে নেয়।
ভূক্তভোগী আবুল হোসেন জানান, সম্প্রতি তার ভাইয়ের কাছ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে ২৮ শতাংশ জমি দখল করতে চাচ্ছেন মুছা মিয়া। তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি নদীর ধারে হলেও তিনি তার বাড়ির জায়গা দখলে নিচ্ছেন। সেখানে ইটের দেয়াল নির্মাণ করেছেন।
আহত জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন বলেন, আবুল হোসেন ও মুছা মিয়ার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা করতে গেলে অর্তকিতভাবে তার ওপর হামো করে তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অভিযুক্ত মো. মুছা মিয়া বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সময় তাদের হামলা ও মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করায় ওই সময়ে এ সম্পত্তি দখলে নিতে পারেননি। বর্তমানের পরিস্থিতি তাদের অনুকুলে থাকায় দখলে নিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে জমির সঠিক কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।