বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, সত্যিকারের দেশপ্রমিক জনগণ কখনো একটি গতানুগতিক নির্বাচন চায় না। বরং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে একটি গ্রহণযোগ্য সংস্কারের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। দেশের নতুন প্রজন্ম অতীতের ৫৩ বছরের তিক্তাকে বাদ দিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন চায়। ইতিবাচক পরিবর্তনে জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে জনগণ সেই প্রত্যাশা পূরণ করার স্বপ্ন দেখছে। তাই জামায়াতে ইসলামীকে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। জনআকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে আসন্ন গণসংযোগ পক্ষে সকল জনশক্তি ও দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দাওয়াতি তৎপরতা চালাতে হবে।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে গণসংযোগ পক্ষ পালন উপলক্ষে দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, এডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা কামাল উদ্দীন, নুরুল হক, মাওলানা আবুল ফয়েজ, অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল হক্কানী, মাওলানা আরেফে জামী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা ও আরিফুর রশীদ সহ উপজেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, দাওয়াত মুমিন জীবনের মিশন। যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কেরামগণ এই দাওয়াতী কাজকে মূল কাজ হিসেবে নিয়েছেন। তাদের অনুরূপ আমাদেরকে দাওয়াতী কাজকে মিশন ও ভিশন হিসেবে নিয়ে দ্বীনের সম্প্রসারণ করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে দাওয়াতী কাজ করতে গিয়ে দায়ীদেরকে বিভিন্নভাবে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। নেতৃবৃন্দকে বাতিলের পক্ষ থেকে তকমা দেয়া হয়েছে জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধের। অথচ আল্লাহর ফয়সালা, আল্লাহ নিজেই দ্বীনের কাজ আজ গণমুখী করে সহজ করে দিয়েছেন। শহীদ দায়িত্বশীলদের রক্তের বদলা দাওয়াতকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, সত্যিকারের মুমিনগণ দাওয়াতী কাজের বাইরে থাকতে পারেনা। সর্বস্তরের জনগণের মাঝে দাওয়াত নিয়ে পৌঁছা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সাহাবায়ে কেরামদের পদ্ধতি অনুসরণ করে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।