রাঙামাটি শহর থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধারের পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস ঘটনার অন্যতম মূল হত্যাকারিকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।

তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় খুলনা জেলা সদরের লবনছড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মূল হত্যাকারি মোঃ জামাল হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে শহরের রিজার্ভ বাজারের মহসিন কলোনী এলাকায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তালাবদ্ধ ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে অস্বাভাবিক পেট ফুলা ও পচনধরা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে পুলিশ নিশ্চিত হলেও ঘটনার কোনো ক্লু পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে পায়নি।

গ্রেফতারকৃত জামাল হোসেন মোল্লা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর কাছ থেকে জামাল তিন লাখ টাকা হাওলাত নেয়ার সূত্র ধরে তিনি জামালের সাথে পরকীয়ায় জড়ায়। জামালের স্ত্রী-সন্তান থাকার পরেও জামালকে বিয়ের জন্য অব্যাহত চাপ দিতে থাকলে ওই নারীকে হত্যার পরিকল্পনা করে জামাল। এক পর্যায়ে রাঙামাটিতে এস গত ১ এপ্রিল ওই নারীকে নিয়ে  রিজার্ভ বাজারের মহসিন কলোনীর কাজী এমরান নূরীর ভাড়া বাসায় উঠে। বাসায় দই এবং জুসের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দিলে নারীটি অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর প্রথমে গলায় গামছা পেছিয়ে পরে দুই পায়ের রগ কেটে তাকে হত‌্যা করে জামাল পাশ^বর্তী ওয়াই ব্রীজের নীচে ধারালো ছুরিটি নদীতে ফেলে দিয়ে আবারো খুলনায় নিজ বাড়িতে চলে যায়।

ভিকটিম খাদিজা আক্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার পুটিখালীস্থ ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আকবর হাওলাদারের মেয়ে।

কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্লুলেস এই ঘটনায় রাঙামাটি থেকে পুলিশের একটি টিম খুলনায় গিয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ পিবিআই ও সংশ্লিষ্ট্য থানা পুলিশের সহযোগিতায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পরবর্তীতে আসামীকে নিয়ে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা ছুরিটিও উদ্ধার করে।