বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মসজিদের ইমামতি, সাংবাদিকতা, আইন পেশা, দোকান পরিচালনাসহ ১১টি পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না বলে নির্দেশনায় জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
পেশার তালিকায় রয়েছে- সাংবাদিকতা, আইন পেশা, কোচিং সেন্টার পরিচালনা বা সেখানে শিক্ষকতা, প্রাইভেট বা কেজি স্কুল পরিচালনা, শিক্ষাবিষয়ক প্রকাশনা বা পাবলিকেশনস ব্যবসা, হজ এজেন্ট হিসেবে কাজ বা এর বিপণন কার্যক্রম, বিয়ের কাজি বা ঘটকালি পেশা, টং দোকান বা অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসা, ঠিকাদারি বা নির্মাণ ব্যবসা, মসজিদে পূর্ণকালীন ইমামতি বা খতিবের দায়িত্ব পালন (যা শিক্ষকতার সময়কে প্রভাবিত করে) এবং কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিশেষ সহকারী বা চাটুকার হিসেবে যুক্ত থাকা।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা উপজেলার সব স্কুল-কলেজে পাঠানো হয়েছে।
চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছ কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান জানান, মাউশি থেকে নির্দিষ্ট ১১টি পেশা উল্লেখ করে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই নির্দেশনার আলোকে বিষয়টি নোটিশ আকারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করা হলে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত একটি সম্মানজনক ও পূর্ণকালীন পেশায় নিয়োজিত। ফলে তাদের পেশাগত দায়িত্ব ও সময়ের পূর্ণ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে শিক্ষকতার পাশাপাশি কোনো অতিরিক্ত লাভজনক পেশায় যুক্ত হওয়া নীতিগতভাবে নিষিদ্ধ।
তবে মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষকরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ধর্মীয় বা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন। তবে তা অবশ্যই সীমিত পরিসরে হতে হবে, যাতে মূল পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে।