যশোর জেলার শার্শার কায়বা গ্রামে ভাবিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় গুরুতর আহত হয়েছেন মফিজুল ইসলাম (৪৫) নামের এক দেবর।
ধর্ষণচেষ্টার সময় আত্মরক্ষায় ভুক্তভোগী নারী ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে দেবরের গোপনাঙ্গে আঘাত করলে মফিজুল গুরুতর আহত হন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মফিজুল একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। তার সঙ্গে ভাবির মধ্যে পূর্ব থেকেই অনৈতিক সম্পর্ক ছিল এবং এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
অভিযুক্ত মফিজুল আহত হওয়ার পর স্থানীয় এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন এবং সেখানে তাকে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণচেষ্টার শিকার ভুক্তভোগী নারী জানান, দেবর দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে তিনি অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
শার্শা থানার ওসি রবিউল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, ওই নারী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এবং মফিজুলকে গ্রেফতারে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।