বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। পরে আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পলায়নের পর আযমীসহ অনেকে আয়নাঘর থেকে মুক্তি পান। দীর্ঘ ৮বছর পর গত ৭ আগস্ট বাড়ি ফিরেন আযমী।
এদিকে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে হাসিনা সরাসরি গুম-খুনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারী) এইচআরডব্লিউ প্রকাশিত ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভ্যুলুশন-এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক সেনা কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়নাঘরে আযমীর বন্দি থাকা ও তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে শেখ হাসিনা সরাসরি অবগত ছিলেন। তিনি (আযমী) ফেলো মিলিটারি অফিসার হওয়ায় তার মুক্তির বিষয়ে বারবার শেখ হাসিনার কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিবারই তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি (শেখ হাসিনা) আযমীকে হত্যার পরামর্শ দেন। আমি তেমনটি করিনি। তবে এরপর আমি তার মুক্তির বিষয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেই।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে কমপক্ষে সাড়ে ৩হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে। এর জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাঠামো ছিল।