জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান ও শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় সংগঠক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় দুর্বৃত্তরা তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পরামর্শে মাথার সিটি স্ক্যানের জন্য তাকে শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে নেওয়া হয়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনার পর সম্ভাব্য পলাতক আসামিরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে বেনাপোল সীমান্তে কড়া নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) সূত্র জানায়, ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০.২৭৪ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব এলাকা কার্যত সিলগালা করা হয়েছে।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, মোতালেব শিকদারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া, পাঁচ ভুলট, অগ্র ভুলট, পুটখালী, গোগা, হরিশ্চন্দ্রপুর ও পাঁচপিরতলা এলাকাসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।