কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয় গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বারোমাসিয়া নদীর ওপর নির্মিত একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়া এই সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করছেন। দীর্ঘদিনেও এই অঞ্চলে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়রা ভয়াবহ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
এই বাঁশের সাঁকোটি পশ্চিম প্রান্তের কান্দাপাড়া, ঝাউকুটি, চর গোরক মন্ডপ গ্রাম এবং পূর্ব প্রান্তের পশ্চিম ফুলমতি, বালাহাট ও নাওডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রোগী বহন করতেও দেখা যায়। কিন্তু ভঙ্গুর অবস্থার কারণে সাঁকোটি পাড়ি দেয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রায় প্রতিদিনই এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করি। বর্ষাকালে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
চর গোরক মণ্ডপ কমিউনিটি ক্লিনিকের একজন কর্মী বলেন, ‘রোগীদের এই সাঁকো দিয়ে আনতে গিয়ে বেশ কষ্টে পড়ি। মাঝেমধ্যে রোগী পড়ে গিয়ে আরো গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হয়।’
একজন কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত পণ্য যদি ঠিক সময়ে বাজারে পৌঁছানো যেত, তাহলে আমরা ভালো দাম পেতাম। কিন্তু রাস্তা-ঘাটের এমন অবস্থায় আমাদের সব লাভই মাটি হয়ে যায়।’
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, বারোমাসিয়া নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি। তবে এখনো কোনো ফল পাইনি।