পটুয়াখালী সদরের বড়বিঘাই ইউনিয়নে বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ভাইকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন থেকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বড়বিঘাই ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টুর ভাগ্নে রুম্মান। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীর ভাই ইজাজ আহমদ তুনাক অভিযুক্তদের সতর্ক করলেও কোন কাজ হয়নি। পরে বিষয়টি বড়বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যান জামালকে জানানো হলে উত্ত্যক্তকারীরা আরো বেপরোয়ারা হয়ে ওঠে।
একপর্যায়ে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় মসজিদে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টুর নেতৃত্বে সাত-আটজন ইজাজ আহমদ তুনাককে কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী তুনাক বলেন, বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করাই হয়েছে আমার অপরাধ! এখন আবার চেয়ারম্যান আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, স্কুলে ও প্রাইভেটে যাওয়ার সময় রুম্মান প্রায়ই আমাকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করায় তারা আমার ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়েছে। আমার পরিবারের সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টুকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।